তাসদীখ হাবীব নির্বাচিত হলে মেম্বারদের দক্ষতা উন্নয়ন, ফান্ডিং ও ক্রস বর্ডার নিয়ে কাজ করতে চাই
তাসদীখ হাবীব আসন্ন ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ২০২৪-২৬ নির্বাচনের এর একজন পরিচালক পদপ্রার্থী। তিনি “ক্লিন ফোর্স লিমিটেড” এর ফাউন্ডার এবং সিইও
তাসদীখ হাবীবের ই-কমার্সের সাথ পথচলা শুরু হয় ২০১১ সালে E4T360 নামে একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। তখন তিনি বিভিন্ন ছোট বড় প্রতিষ্ঠানকে ইকমার্স বিজনেস ডেভলপমেন্ট সেবা প্রদান করতেন।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে ই-ক্যাব এর সাথে তার যাত্রা শুরু হয় একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে। তিনি সেই সময় ই-ক্যাবের ফেসবুক গ্রুপ, ব্লগ এবং স্কাইপি আড্ডায় ডিজিটাল মার্কেটিং রিলেটেড নলেজ শেয়ার করতেন।
২০১৫ সালের মার্চ মাসে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত ই-ক্যাব এর প্রথম ওয়ার্কশপে তিনি ট্রেইনার হিসেবে ছিলেন। তারপর ই-ক্যাবের প্রথম LICT ট্রেনিং প্রজেক্ট সহ আরও অনেক ওয়ার্কশপ ও ট্রেনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করিয়েছেন এবং ই-ক্যাব মেম্বারদের বিজনেস ডেভ্লপমেন্ট কন্সাল্টেন্সি দিয়েছেন।
তাসদীখ হাবীব জানান,তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি এবং ICT Division এর যৌথ আয়োজন ICT Expo 2015 এর ডিজিটাল মার্কেটিং এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই সময় তিনি বর্তমান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক স্যার এর সাথে সরাসরি কাজ করেন।
উক্ত ইভেন্ট সফল ভাবে আয়োজনের পর কম্পিউটার সোর্স লিমিটেড তার ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি একুয়ার করে নেয় এবং তিনি তাদের ই-কমার্স হেড হিসেবে টেকসই ডট কম নামে একটি ইকমার্স সাইট স্ক্রেচ থেকে তৈরি করেন।
তাসদীখ হাবীব ২০১৮ সালে ক্লিন ফোর্স লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। ক্লিন ফোর্স বাংলাদেশের প্রথম অনলাইনভিত্তিক আইএসও সার্টিফাইড ওয়াটার ট্যাংক এন্ড পাইপলাইন ক্লিনিং কোম্পানি। করনাকালীন সময়ে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তারা ই-ক্যাব থেকে ই-কমার্স মুভার্স এওয়ার্ড এ ভুষিত হন।
২০২০ সালে তিনি ই-ক্যাব ইয়থ ফোরামের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ই-ক্যাবের সাড়া যোগানো উদ্যোগ “মানবসেবা” প্রজেক্টের একজন কোর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সরকারের একমাত্র ইকমার্স এগ্রিগেটর “একশপের” বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কনসাল্টেন্ট হিসেবেও কাজ করেছিলেন।
বর্তমানে তাসদিখ হাবিব ক্লিন ফোর্স লিমিটেড ছাড়াও মিট এন্ড বোন্স এবং কোপ্রোপার্টি লিমিটেড নামে আরও ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। যার মাধ্যমে তিনি প্রায় ১০০ জনের কর্মসংথান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। আর বর্তমানে তিনি JCI Dhaka Pioneer এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত আছি।
তার শিক্ষা জীবনের শুরু হয় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ দিয়ে, সেখান থেকেই তিনি এসএসসি পাশ করেব এবং রাইফেলস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন। তিনি আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্ডাস্টিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করেন যেখানে তার থিসিস এর টপিক ছিল বাংলাদেশের ই-কমার্স লজিস্টিক সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট। এই মুহুর্তে তিনি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এ এক্সিকিউটিভ এমবিএ তে অধ্যায়নরত আছেন
তিনি ই-ক্যাবের একজন পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হলে আগামী ২ বছরে তিনটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান। এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন,
“প্রথমত, ই-ক্যাব মেম্বারদের জন্য প্রয়োজনীয় এবং সময়উপযোগী এডভান্সড বিজনেস ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালু করতে চাই। আমরা দেখতে পাই আমাদের অনেক পুরাতন মেম্বাররাই এখন আর একটিভ নেই। অনেকে আর মেম্বারশীপও রিনিউ করেন না, কারণ তাদের অনেকের ব্যবসাই বন্ধ হয়ে গেছে। তাই নতুন উদ্যোক্তা তৈরির ট্রেনিং প্রোগ্রামের পাশাপাশি আমি ২/৩ বছরের পুরাতন উদ্যোক্তাদের জন্যেও এডভান্সড কাস্টমাইজড ট্রেনিং প্রোগ্রাম ও ওয়ার্কশপ চালু করতে চাই, যার মাধ্যমে তারা তাদের ব্যবসায় টিকে থাকা এবং ব্যবসা স্কেলাপ করা সহ বিভিন্ন এডভান্সড টেকনিক সম্পর্কে অভিজ্ঞদের থেকে শিখতে পারবেন এবং নিজেদের ব্যবসায় তা ইমপ্লিমেন্ট করতে পারবেন। “
“ দ্বিতীয়ত, আমি ই-ক্যাব মেম্বারদের সহজ শর্তে লোন এবং ক্রাউডফান্ডিং এর মাধ্যমে বিনিয়োগ প্রাপ্তি নিয়ে কাজ করতে চাই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার জন্য ব্যংক থেকে লোন পাওয়া কতটা কঠিন তা আমরা সবাই জানি। কিভাবে আমরা ই-ক্যাব মেম্বারা সহজ শর্তে ব্যংক থেকে লোণ পেতে পারি সেই বিষয় নিয়ে সরাসরি কাজ করতে চাই। তাঁর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্রাউডফান্ডিং প্লাটফর্মকে ই-ক্যাব এর সাথে সংযুক্ত করতে চাই জেন ব্যংকিং চ্যানেলের বাইরেও সহজ উপায়ে ই-ক্যাব মেম্বাররা প্রয়োজনীয় ফান্ড কালেক্ট করার সুযোগ পাই। “
“তৃতীয়ত, আমি ক্রস বর্ডার ইকমার্স নিয়ে কাজ করতে চাই। আমরা জানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ২ কোটি প্রবাসী বাংলাদেশী বসবাস করেন। তারা প্রতিনিয়ত দেশে থাকা তাদের স্বজনদের জন্য কেনাকাটা করেন এবং নিজেরাও প্রায় ৩/৪ গুন বেশি দাম দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি কোন বিদেশি ব্র্যান্ডের ট্যাগ লাগানো কাপড় চোপড় কিনে পরেন। শুধু মাত্র এই ২ কোটি প্রবাসীকে টার্গেট করেই একটি মজবুত ক্রস বর্ডার ইকমার্স বিজনেস মডেল বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যা করতে পারলে আমাদের দেশীয় পণ্য বিদেশে পরিচিতি পাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।”
তাছাড়াও তিনি কথা দিচ্ছে মাসে অন্তত ৩০ ঘণ্টা ই-ক্যাব অফিসে সময় দিবেন এবং সদস্যরা সব সময় তাদের প্রয়োজনে তাকে পাশে পাবেন ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে তিনি বলতে চাই, “আমার জীবনে আমি যতটুকুই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি তাঁর পিছনে আমার প্রাণের সংগঠন ই-ক্যাবের ভূমিকা অনসিকার্য। তাই আমি এই সংগঠনের জন্য কিছু করতে চাই, এই সংগঠনের মেম্বারদের জন্য কিছু করতে চাই। আর সেইটা একমাত্র সম্ভব যদি আপনারা আমাকে যোগ্য মনে করেন, যদি আপনারা আমাকে কাজ করার সুযোগ করে দেন। আমি ২৭ জুলাই আপনাদেরই সিধান্তের অপেক্ষায় “