রোকেয়া আক্তার শারমীনের জন্ম চট্টগ্রামে। ছোটবেলা থেকেই ব্লক ও বাটিকের কাজের প্রতি আগ্রহ ছিল তার। তাই এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার ব্লক এবং বাটিক এর উপর ট্রেনিং করেন। ট্রেনিং নেওয়ার পর হাতেকলমে কাজ শিখেন তিনি।
দীর্ঘ দিনের পরিশ্রম, চেষ্টা, আর ট্রেনিং শেষ করার পর প্রায় ৩২ হাজার টাকার মত উপার্জন করেন শারমীন। এরপর অনলাইনে বিজনেস করার আইডিয়া আসে তার। তারপর জমানো টাকা মিলিয়ে ব্লকের থ্রিপিস দিয়ে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করেন তিনি।
২০১৫ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পেইজ খোলেন তিনি। পেইজ খোলার ১ বছর পর থেকেই অনলাইনে পাইকারী বিক্রি চালু করেন শারমীন। বিভিন্ন হোলসেল গ্রুপে ও সেক্টরে জামার ছবি ও ডিটেইলস সহ পোস্ট করা শুরু করেন। তারা তাদের পেইজে গ্রুপে আপলোড দিয়ে অর্ডার নেয়। তিনি কাজ যখন শুরু করেন তখন ১৫ জন পেইজ ওউনার ছিলো। এখন প্রায় ১০০০ পেইজ ওনার আমাদের সঙ্গে কাজ করছে।
শারমীন জানান, বর্তমানে তিনি দেশীয় বুটিকস থ্রীপিস, বাটিক সিল্ক শাড়ী ও থ্রীপিস, বাটিক কটন শাড়ী ও থ্রীপিস, বিছানা চাদর, শীতের শাল, হাতের কাজ এর জামা, ইন্ডিয়ান ড্রেস ও শাড়ী, গাউন, পাকিস্তানি ড্রেস, জুয়েলারী নিজে কাজ করছেন।
এই যাত্রায় বিভিন্ন বাধার সন্মূখীন হয়েছেন জানিয়ে বলেন, কনজার্ভেটিভ পরিবার হওয়াতে আমি পরিবার থেকে খুব একটা সহযোগিতা পাইনি। বিয়ের পর আমার সংসার এবং আমার ছোট ২ ছেলেকে নিয়ে মাস্টার্স এবং বিজনেস ছিল অনেক কঠিন। একটা শোরুম মহিলা দ্বারা পরিচালিত হবে এটা তখন পারিবারিক ও সামাজিকভাবে অনেকেই সহজে মেনে নিতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, আমার বিজনেস এর ইউনিকনেস হচ্ছে সততা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে শারমীন বলেন, নিজের বিজনেস কে ব্র্যান্ড হিসেবে দেখতে চাই, নতুন উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে চাই।