কনভার্সন হচ্ছে ই-কমার্স সেলস ফানেলের ৩য় ধাপ। এই ধাপে আপনি চাইলে বৃদ্ধি করতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটের কনভার্সন রেট। চলুন সংক্ষেপে কিছু পরামর্শ বা কৌশল আলোচনা করি।
Optimize the Check out Process: ২০২৪ সালে এসেও অনেকেই পুরাতন নিয়মে চেকআউট সিস্টেম রাখে। অর্থাৎ নাম, ঠিকানা, পোস্টাল কোড, গ্রাম, শহর, বিভাগ, ফোন নাম্বার, ইমেইল add to cart-add to wish list- চেক আউট – অর্ডার ইত্যাদি। এতকিছু প্রয়োজন নেই। সরাসরি Buy now/order now দিয়ে শুধু মাত্র নাম,ঠিকানা, নাম্বার/ইমেইল এর মাধ্যমে এক ক্লিকে অর্ডারের সিস্টেম রাখুন। তবে আমি বেশ কিছু ওয়েবসাইট দেখেছি ইদানীং তারা এই নিয়ম ফলো করেছে।
Add High Quality Photos : অবশ্যই ওয়েব পেইজে হাই কোয়ালিটি ছবি থাকতে হবে। ছবি ব্যবহারের সময় কালার সাইকোলজি অনুসরণ করতে পারেন। হাই কোয়ালিটি ফটো কনভার্সন রেট বাড়াতে পারে। সেই সাথে উক্ত প্রোডাক্ট এর লাইফস্টাইল ছবি বা রিয়েল লাইফে উক্ত প্রোডাক্ট এর ব্যবহারের ছবিও আপলোড করতে পারেন।
Strengthen the Copy : আপনার ল্যান্ডিং পেইজ অবশ্যই গোছানো, পরিকল্পনা করে সেট আপ করতে হবে। আপনার প্রতিটি লাইন খুবই প্রফেশনাল হতে হবে, আকর্ষিক(persuasive) হতে হবে, ইমোশনাল এপ্রোচ থাকতে হবে। মোটকথা, কেউ আপনার সেলস কপিতে ভিজিট করলে সে যেন তার পেইন পয়েন্ট অনুযায়ী সকল তথ্য পাই।
Add Live Chat : কেউ ওয়েবসাইটে আসলে তাকে যেন ফেইসবুক পেইজ বা ওয়াটসএপ এ যেতে না হয় সেজন্য “লাইভ এবং কুইক চ্যাট” সাপোর্ট চালু রাখ প্রয়োজন। এতে আপনার সম্ভাব্য কাস্টমার আপনার সাথে কথা বলে উক্ত পণ্যটি অর্ডার করতে পারবে, কমফোর্ট ফিল করবে।
Pursue Abandoned Cart : এটা এক প্রকার রি-মার্কেটিং এর মতো। আমাদের দেশে এই কাজটি সবচেয়ে বেশি করে দারাজ ও ফুডপান্ডা। এর অর্থাৎ মনে করুন, আপনার ওয়েবসাইট অনেকে ভিজিট করে প্রোডাক্ট অর্ডার করে না, অনেকেই তার ইনফরমেশন দিয়ে চেক আউট পর্যন্ত চলে যায় কিন্তু পরবর্তীতে আর কিনে না। এখন আপনি তাদেরকে খুবই ভদ্রভাবে ইমেইলে রিমাইন্ডার দিতে পারেন যে, “তার কার্টে(cart) কী ছিল “ , এভাবে নিয়মিত তাকে বিভিন্ন অফার, প্রমো কোড বা আরো বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত আপডেট দিতে থাকবেন। হতে পারে সে যেকোনো একদিন এসে আপনার ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্ট অর্ডার করতে পারে। এই কাজটি আমি নিজেও করি অর্থাৎ কার্ট চেক করে অর্ডার করি।
Increase Website Speed : দ্য স্টেট অব অনলাইন রিটেইল পারফরম্যান্স এর তথ্য অনুযায়ী, ওয়েব পেইজে লোড স্পিড ১সেকেন্ড দেরি হলে ২০% কনভার্সন কমে যায়। যদিও আমি ডেভেলপার না, যারা ডেভেলপার তারা জানে কীভাবে লোডিং স্পিড কমানো যায়। তাই এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে পারেন।
Trial Offer / Guarantee Offer : আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে চাইলে ট্রায়াল অফার দিতে পারেন অথবা আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে যদি আপনার ১০০% কনফিডেন্স থাকে তাহলে আপনি চাইলে গ্যারান্টি অফার দিতে পারেন। তাছাড়া আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বেশি এক্সপেন্সিভ হয়ে থাকে অবশ্যই ট্রায়াল বা গ্যারান্টি অফার দিতে পারেন। এতে আপনার প্রতি কাস্টমারের বিশ্বস্ততা বাড়বে।
Try A / B Test : এ/বি টেস্ট আপনি চাইলে এডস রান করেও দেখতে পারেন বা এডস রান না করেও দেখতে পারেন। আপনি যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করতে চাচ্ছেন সেটা নিয়ে দুটি সেলস কপি করতে পারেন বা দুটি ল্যান্ডিং পেইজ করতে পারেন। যেমনঃ দুই পেইজে ভিন্ন ছবি ব্যবহার করতে, ভিন্ন কন্টেন্ট ব্যবহার করতে পারেন, বা কোন একটা অপশন চেঞ্জ করতে পারেন। এর দুটি পেইজ টেস্ট করে এর পর এনালাইটিকস রিপোর্ট চেক করুন। কোন পেইজ দিয়ে বেশি কনভার্সন হয়েছে, কোথায় বেশি ক্লিক হয়েছে, ইত্যাদি। এটা আসলে এডভান্স স্ট্র্যাটেজি, অনেকে করতে চাই না।
অনেকেই হয়তো এই স্ট্র্যাটেজি গুলো ফলো করেছেন, যারা করেন নাই একটু কষ্ট করে এপ্লাই করতে পারেন এগুলো। মনে রাখবেন, কষ্ট করলে কেষ্ট করলে মেলে। অনলাইন বিজনেস এত সহজ না। সো, বেস্ট অফ লাক আপনার বিজনেসের জন!